তাহিরপুরে পূর্ব বিরুদ্ধে জেরে বসতবাড়ি গিয়ে দুইজনকে কুপিয়ে জখম


‎সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় পূর্ব বিরুদ্ধের জের ধরে এক বৃদ্ধক ও এক যুবককে দাড়ালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি  কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত বৃদ্ধ আব্দুর রউফ (৬০)। তিনি বড়দল উত্তর ইউনিয়নের আমবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুস সোবানের ছেলে এবং আহত যুবক একই গ্রেমের মনফর আলীর ছেলে নজির হোসেন (২২)। ‎পরে আহতের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকেই প্রথমে তাহিরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত আব্দুর রউফরে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে এবং পরে ওইদিন রাতেই সিলেট এম এ জি উসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনায় বুধবার বিকালে আহত আব্দুর রউফের ছেলে নূর আলম(২৩) বাদি হয়ে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত আব্দুস ছোবহানের ছেলে  মুজিবুর রহমান (৫০), মুজিবুর রহমানের ছেলে শাহীন মিয়া (১৯), সাইম মিয়া (১৭) ও মেয়ে সালমা আক্তার (২১), রহিমা বেগম (২৫) এবং স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪৫) ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮জন আসামি করে তাহিরপুর থানায় একটি এক মামলা দায়ের করে। ‎ ‎এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ২ জুলাই বুধবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলার ৪ নং বড়দল উত্তর ইউনিয়নের আমবাড়ী গ্রামে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও  থানায় অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, আমবাড়ী গ্রামের আব্দুর রউফের সাথে একই গ্রামের মজিবুর রহমানের জমিজমা ও পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে এবং বাড়ির পাশের নদীতে বালু উত্তোলন ও বিক্রি নিয়ে গত বুধবার সকালে পূর্ব কল্পিতভাবে মজিবুর রহমান, তার ছেলে শাহীন মিয়া, সাইম মিয়াসহ ১০/১২ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আব্দুর রউফের বাড়ির উঠানে গিয়ে আব্দুর রউফসহ তার পরিবারের লোকজনকে গালাগালি শুরু করে। এ সময় আব্দুর রউফ কেন গালাগালি করছে জানতে চাইলে মজিবুর রহমান ও তার সাথে থাকা লোকজন তাদের হাতে থাকা রাম দা দিয়ে আব্দুর রউফকে মাথাসহ সারা শরীরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় আব্দুর রউফ এর ডাক চিৎকারে আব্দুর রউফের ভাতিজা নজির হোসেন এগিয়ে আসলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাদের চিৎকার আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মজিবুর রহমান ও তার লোকজন চলছে যায়। পরে আব্দুর রউফ ও নজির হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাহিরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আব্দুর রউফের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে সুনামগঞ্জ জেলার সদর হাসপাতালে পরে সিলেট উসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে নিয়ে ভর্তি করে। এ বিষয়ে ওইদিন রাতেই আহত বৃদ্ধ আব্দুর রউফের ছেলে নূর আলম(২৩) বাদি হয়ে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত আব্দুস ছোবহানের ছেলে  মুজিবুর রহমান (৫০), মুজিবুর রহমানের ছেলে শাহীন মিয়া (১৯), সাইম মিয়া (১৭) ও মেয়ে সালমা আক্তার (২১), রহিমা বেগম (২৫) এবং স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪৫) ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮জন আসামি করে তাহিরপুর থানায় একটি এক মামলা দায়ের করে। ‎ ‎এর সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানা ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, আহত আব্দুর রউফের ছেলে বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *